শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০

আমাদের কথা।। মাসিক কবিতাপত্র সাপ্তাহিক অনলাইন ।। সংখ্যা ২।। ১৫ আগষ্ট, ২০২০

মাসিক কবিতাপত্র সাপ্তাহিক অনলাইন ।। সংখ্যা ২।। ১৫ আগষ্ট, ২০২০




 

আমাদের কথা

আজ 'মাসিক কবিতাপত্র'-এর জন্মদিন। সবাইকে প্রথমেই 'মাসিক কবিতাপত্র'-এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। ৭ বছর আগে শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বাংলা ভাষাভাষী বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে আজকের দিনে, এই ১৫ আগষ্ট, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবসের দিনে আত্মপ্রকাশ করে 'মাসিক কবিতাপত্র'। বাংলা ভাষার নানা প্রান্তের কবিরা ছিলেন এই কবিতাপত্রটির সম্পাদক ও প্রকাশক।পশ্চিমবঙ্গের বাইরে, ভারতের অন্যান্য রাজ্য, এমনকী বাংলাদেশের কবিরাও ছিলেন 'মাসিক কবিতাপত্র'-র সম্পাদক ও প্রকাশক।প্রতিটি সংখ্যার শেষ পৃষ্ঠায় এই সম্পাদক ও প্রকাশকদের নাম ঠিকানা ও মেল আইডি সহ প্রকাশিত হতো এবং সম্পাদকমণ্ডলীর যে কাউকে লেখা পাঠানোর আহ্বান থাকতো। আমাদের জানা নেই পৃথিবীর ছোটোপত্রিকার ইতিহাসে ইতিপূর্বে এরকম ঘটনা ঘটেছে কি না! কোনও একটি পত্রিকার সঙ্গে আঞ্চলিক প্রতিনিধি হিসেবে, উপদেষ্টা হয়ে অনেকেই যুক্ত থাকেন, বিনিময়-প্রথার মতো, নিজের অঞ্চলে পত্রিকাটি নিয়মিত বিতরণ ও প্রচার করলে সেই পত্রিকায় নিয়মিত লেখার সুযোগ পাওয়া যাবে, এমনকী পত্রিকাটি প্রকাশনা শুরু করলে সেখান থেকে কম খরচে নিজের বইপ্রকাশ ও নিজের অঞ্চলে তার শাখা-প্রতিনিধি হয়ে জেলা বইমেলা বা লিটল ম্যাগাজিন মেলায় ওই পত্রিকাটির স্টল আগলানো ও নিজের বইবিক্রির অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া যায়। দীর্ঘকাল ধরে এই ব্যবস্থা চলে আসছে। লেখককবিরাও এই সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। 'মাসিক কবিতাপত্র' এই শাখা-প্রশাখা মূলক বিনিময়-প্রথায় প্রথম দিন থেকেই বিশ্বাস করেনি, আজও করে না। বিশ্বাস করে না গুরুবাদ-এ। তরুণতম কবির মস্তিষ্ক-প্রক্ষালনে।পুরনো সংখ্যাগুলি, 'মাসিক কবিতাপত্র'-এর, দেখলেই পাঠক এ-কথার সারবত্তা অনুধাবন করতে পারবেন। সম্পাদকমণ্ডলীর বিভিন্ন জন আক্ষরিক অর্থেই বিভিন্ন সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন, স্বাধীনভাবেই, মেল-এ প্রুফ চালাচালি করে। কোনও বিশেষ তত্ত্ব বা গুরুবাদের ইজমকে পাত্তা না দিয়ে।কারণ, 'মাসিক কবিতাপত্র' শুধুমাত্র কবিতার কাছেই দায়বদ্ধ।  

'মাসিক কবিতাপত্র'-এর জন্মলগ্ন থেকেই কোচবিহার থেকে কলকাতা মালদা থেকে মুম্বই পুরুলিয়া থেকে বহরমপুর বাঁকুড়া থেকে বাংলাদেশ শিলিগুড়ি থেকে শান্তিনিকেতন বর্ধমান থেকে আগরতলা বাংলা ভাষাভাষী নানা অঞ্চল থেকে মোট ৩০ জন কবি যুক্ত থেকেছেন, আবার নানা কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন সম্পাদনা থেকে, কেউ-বা প্রয়াত।আজ 'মাসিক কবিতাপত্র'-এর জন্মদিনে সেইসব কবিবন্ধুদের আরেকবার নামোল্লেখ রইলো এখানে-- অনীক রুদ্রসিদ্ধার্থরঞ্জন চৌধুরিপ্রবীর দাসবিকাশ সরকারমোঃ নুরুল ইসলামশঙ্খশুভ্র দেববর্মণমাসুদার রহমানউমাশংকর বড়ুয়াবিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়সোমনাথ রায়অয়ন গোস্বামীগৌতম গুহরায়তাপস দততো, অসীম শর্মা, রাজকুমার রায়চৌধুরী, সুবীর সরকার, কৃত্তিবাস ঘোষনাসিম-এ-আলম, নিলয় রায়, মধুছন্দা মিত্র ঘোষ, অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়, রিমি দেঅনিন্দ্য রায়দীপঙ্কর বাগচীসূরজ দাশরাজন গঙ্গোপাধ্যায়,পার্থপ্রতিম আচার্যঅনুপম মুখোপাধ্যায়মণিশঙ্কর সান্যালশান্তনু বিশ্বাসপ্রণব চক্রবর্তীগোবিন্দ ধরইন্দ্রজি রায়দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমিতাভ ঘোষাল, রতন পাল, উৎপল ফকির, দেবাশিস সাহা, রাজীব সিংহ। 

বলাবাহুল্য ছাপার হরফে এক থেকে দুই ফর্মা ছিল এই মাসিক কবিতাপত্রটির আয়তন। বিশেষ সংখ্যা অবশ্য আয়তনে বড়ো হয়েছে। অন্যান্য পত্রিকার যা হয়, স্বাভাবিক কারণেই 'মাসিক কবিতাপত্র'-এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সংঘ ভেঙে আবার সংঘ গড়ে ওঠা ছোটোপত্রিকার অন্যতম ধর্ম। যখন 'মাসিক কবিতাপত্র' কয়েকমাস বন্ধ, ১৮-তম সংখ্যা বিশেষ 'শক্তি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা' হিসেবে বেরনোর পর, তখন এগিয়ে এলেন কবি সিদ্ধার্থরঞ্জন চৌধুরী, তাঁর প্রকাশনা সংস্থা 'উবুদশ' থেকে বেরোতে শুরু করলো আবার নিয়মিত 'মাসিক কবিতাপত্র'।যুক্ত হলেন আরও একঝাঁক কবি।২০২০-এর বইমেলায় ফেব্রুয়ারি-মার্চ যুগ্ম সংখ্যা বেরনোর পর সারা পৃথিবীর সঙ্গে ভারত তথা আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও 'লকডাউন' ঘোষণার পর এই নতুন 'সাপ্তাহিক অনলাইন'-এর আয়োজন। যদিও এপ্রিল ২০২০-তে 'মহামারী করোনার সময়ে' একটি বিশেষ সংখ্যা পিডিএফ আকারে আন্তর্জাল সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে সময়ের জীবন্ত দলিল হয়ে। আমাদের ওয়েবসাইটে সংখ্যাটি আছে। আগ্রহী পাঠক পড়তে পারেন সংখ্যাটি। অনুরোধ রইলো উপরের ভিডিওটি দেখবার, 'মাসিক কবিতাপত্র'-এর নানাবিধ কর্মকাণ্ড সেখানে সংক্ষেপে ধরা রইলো।

যতদিন না ঠিকঠাক কলেজস্ট্রিট খুলছে, উবুদশ খুলছে, মাসিক কবিতাপত্র এভাবেই অনলাইনে। ততক্ষণ সাবধানে থাকুন। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও লেখক আমাদের সকলের শ্রদ্ধার জন হিরণ মিত্র, আমাদের প্রিয় হিরণদার আঁকা এতোগুলি ছবি আমাদের এই বিশেষ জন্মদিন সংখ্যার সম্পদ।হিরণদাকে আমাদের শ্রদ্ধা। তাঁর ভাষায় আমরা বলতে পারি, 'স্টে হোম, ক্রিয়েট আর্ট'।

1 টি মন্তব্য:

  1. খুব একটা ভালো কাজ হয়েছে। পাঠকদের অভাব পূরণ হবে। মাসিক কবিতাপত্র প্রতিটি সংখ্যাই আমাদের কৌতূহলের উদ্রেক করে। সেই শূন্যস্থান আমরা পূর্ণ করতে পারছি। খুব সুন্দর লেখা। চমৎকার সাজানো-গোছানো। আমরা কৃতজ্ঞ।

    উত্তরমুছুন