বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

স্মরণ/প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় শম্ভু রক্ষিত বিজয়া মুখোপাধ্যায়


স্মরণ
প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় শম্ভু রক্ষিত বিজয়া মুখোপাধ্যায়





প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়৷৷ এই আমি

নিজেকে দেখি না আর ঘুরেফিরে আগের মতন,
তাকাই না সোজাসুজি আর
নিজের মুখের দিকে,নিজের চোখের দিকে, যেন
ফিরে তাকাবার
ফুরিয়েছে সব প্রয়োজন!
ওদিকে এখন
বেশ টের পাই যে শরীরে
অব্যর্থ গতিতে ধীরেধীরে
অস্তাচল ফেলছে তার আরক্ত মেঘের ছায়াখানি৷
ফেলুক৷ তা স্বাভাবিক৷ তাতে কি আয়নার হাতছানি
এভাবে অগ্রাহ্য করা যায়?
নাকি তা মনের দিক থেকে সুস্থ মানুষকে মানায়?
তবে কেন! কেন?
ভাবতে গিয়ে ঘিরে ফেলল একরাশ ভয়ংকর ভয়!
যে-আমি আমার সামনে, সেই আমি সম্পূর্ণ অচেনা৷
আমি কেন,কেউই তাকে দ্যাখেনি, জানে না!
সত্যি বলতে, সেই আমি এই আমি নয়!





শম্ভু রক্ষিত।। প্রিয় ধ্বনির জন্য কান্না

২৭.
হৃদরোগের সন্ধান নিয়ে ঢুকে পড়ো। সরবরাহকারী নির্মাণযন্ত্র
পৃথিবীর মেঘময় আতঙ্ক শেষপর্যন্ত আধার হিসেবে।
ঊর্ধ্বময় সর্বনাশ ভেবে স্নায়ুতন্ত্রের কাজ। সুরক্ষিত জল
দহনক্রিয়া মাথার ধ্মনী ছিঁড়ে যাও, বোতল, বায়ুর কাঠিন্য অনুশীলন শরীর
অরণ্যসমগ্র, পাখিদের শ্রবণশক্তি, আঙুরসমস্যা শজ নয়
উজ্জ্বল মাথার পর্যবেক্ষণ ভেঙ্গে অবসাদ্গ্রস্ত উচ্চগ্রামের অংশে
প্রমানিত হি, অন্ধ দৈবজ্ঞ, সৌরশক্তি,প্রশান্তি যেন আওয়াজ বিক্রি
টিন-ভর্তি কুয়াশা নিয়ে মানুষ-জীবজন্তুর মাথা হয়ে হাতজোড় করি
বসো গৌরবসূর্য, অদ্ভুত ভূত-প্রেত বিশ্বাস সে-বিষয়ে সচেতন
পৃথিবীর মেঘ, শিষ,দৃষ্টিনির্ভর আস্বাদনের ফসল রহস্যের মিশ্রণ চেওনা
অতুল ঘনরাশি ও উরসুলা কিয়দংশের লাল রং লেগে আছে দুর্যোগমথিত
এলাকায়; তোমার কোনো অলৌকিক পরিক্রমা নেই। শুধু ফুলবাগিচার
ও জল বায়ু কুয়াশার অংশ লক্ষনীয়, সাড়া দাও । রূপকের মত বিবরণ, দৈববানী
সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রমানিত হয়েযায়; শরীরের ভিতর বেশী, নিশ্চিত প্রমাণ এই
গবেষণা শক্তি, কেন-না, এখানে এই উক্ত সত্যি স্বর্ণময় হয়-আবিস্কার
রং তুলি বিপদের হূঁশিয়ারী রূপকর্ম হয় ও যেন আদানপ্রদান
তোমার সহানুভূতিশীল হৃদয়টি আমার চাই...





বিজয়া মুখোপাধ্যায়।।একই স্বপ্ন রোজ

এখন আমি একই স্বপ্ন দেখি রোজ
আশৈশব সম্পর্ক নেই যার সংগে সেই বাড়ির।
দেখতে পাই
নাটমন্দিরের দুপাশে জুঁই ফুটেছে---
এখন বর্ষা।
দেখি, দিঘির ঘাট থেকে উঠে আসছে কেউ
আমার মায়ের মত।
দেখি আসগর আলির
সুপুরি গাছে উঠে-যাওয়া লম্বা লম্বা পা,
আর দিগন্ত জোড়া পাটখেত।
ওরা এখন শরণার্থী, ষাট লক্ষ।
ওরা সারাদিন সদরে ঘন্টা বাজায়
আমি অসাড়,
শুধু রাত্রে স্বপ্ন আসে নাটমন্দির,
পাটখেতে ঢেউ, আসগর আলির পা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন